শহিদুল ইসলাম,কালুখালী (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি:০৫ এপ্রিল-২০২২,মঙ্গলবার।
মুজিব বর্ষে উপহার হিসেবে সরকার সারাদেশের গৃহহীনদের ঘর নির্মান করে দিয়েছে। সরকারের এই নিয়মের আওতায় রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট গ্রামের ১০ পরিবার পাকা ঘর পেয়েছে। তারপরও প্রতিনিয়তই নানা ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে ঘরের বাসিন্দাদের।
সোমবার কাজ শেষে সবাই নিজ নিজ ঘরে ফিরে আসে। বিকেলে একটু দমকা হাওয়ার দোল লাগে। আর এতেই ঘরের টিনগুলো উড়ে যায় মৌরাটের হালিমার। পাংশা উপজেলা প্রশাসন জানার পরম মঙ্গলবার সকালে ওই ঘর পুন: সংস্কার করে। অন্য ঘরগুলোতেও দিয়েছে জিআই তারের বাধন। হালিমার পাশের বাসিন্দা ফুলটুরি নেছা,মোজাহার বিশ্বাস,বাবলু সরদার,মনিরুল ইসলাম,ফাতেমা বেগম,সোনাই শেখ,রজব আলী,সাইদুল ও তমছেল।
হালিমার ঘর উড়ে যাওয়ার পর থেকে এরা সবাই আতংকে আছে। কারন সামনে কালবৈশাখী। যে ঘর সামান্য বাতাস সইতে পারে না ,তা কি করে কালবৈশাখীতে টিকবে। তবে ঘর নিয়ে এরা বেশি কিছু বলতেও নারাজ। কারন উপজেলা থেকে কিছু লোক এসে বলে গেছে,এ নিয়ে কাউকে কিছু বললে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হবে।
বসবাসকারীরা জানায়, ৭ মাস আগে তারা ঘরে এসেছে। ৩য় মাসে সাইদুলের ঘর ভেঙ্গে যায়। এবার ভাংলো হালিমার ঘর।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,ঘরের দেওয়ালের প্লাস্টার খসে খসে পরছে। ঘরে ওঠার সিড়িতে ভাংগন ধরেছে। রং চটে গেছে। ৭ মাস আগে তৈরি ঘর। মনে হচ্ছে ৭ বছর আগের। ১০ পরিবারের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ৩ টি নলকুপ। নলকুপের পাশে পাকা না করায় পঁচা মাটির গন্ধে মাছি ভিন ভিন করছে ।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে শেখ হাসিনার উপহারের ঘরের বেহাল দশা সম্পর্কে জানতে চাইলে পাংশার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী হেকমত আলী জানায়,বাজেট কম ,তাই এর চেয়ে ভালো ঘর হয় না। নলকুপের গোড়া কাঁচা করন সম্পর্কে উনি বলেন,এটা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর গাফিলতি। এতে আমার কিছু করার নেই।