ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা ১নং ধানীখোলা ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড উজান দাসপাড়া গ্রামের আশরাফ উদ্দিন জীবনের সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে জমি ক্রয় করেন। ঘাম ঝড়ানো টাকায় ক্রয় করা জমি দখল করে নিতে চাই এলাকার ভূমিদস্যুরা। উজান দাসপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ বেপারীর ৭সন্তান জুলেখা খাতুন, ইন্নুছ আলী, রহিমা খাতুন, ফাতেমা খাতুন, রাহাতুন বেগম, নুরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম আব্দুল আজিজ বেপারী মৃত্যু কালে তার ছেলে মেয়েদের জন্য ৭একর ২২শতং জমি রেখে যায়। হিসাব অনুযায়ী প্রত্যেক ছেলে ১একর ৪৫শতং ও প্রত্যেক মেয়ে ৭২.৫শতং জমি পায়। আশরাফ উদ্দিন একজন হতদরিদ্র মানুষ খেয়ে না খেয়ে জীবনের সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে আব্দুল আজিজ বেপারীর দু’কণা ফাতেমা খাতুন ও রাহাতুন বেগমের অংশ থেকে যার বি.আর.এস নং-১১৮৩৩ দাগে ২৬ ও ১১৮৩৫ দাগে ২৪ শতং জমি আশরাফ উদ্দিনের কাছে বিক্রি করার জন্য প্রস্তাব করলে। আশরাফ উদ্দিন ২০১৫ সালে ২৪ শতং ও ২০১৬ সালে ২৬ শতং জমি ক্রয় করে ২০২০ পযর্ন্ত ভোগদখল করেন। কিন্তু ২০২০ সালের শেষে আব্দুল আজিজ বেপারীর ছেলেরা ইন্নুছ আলী, নরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম এলাকার ঘন্ঠা প্রকৃতির লোক নিয়ে আশরাফ উদ্দিনকে উক্ত জমি থেকে প্রাণে মারার ভয় দেখিয়ে বিতারিত করেন। আব্দুল আজিজ বেপারী ছেলেরা তাদের দু’বোন জুলেখা খাতুন ও রহিমা খাতুনের কাছ থেকে একি দাগে ৯১শতং জমি ক্রয় করেন ২০১৪ সাল যা সম্পূর্ণ ভুয়া ও বিতৃহিন। উজান দাসপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ বেপারীর দু’মেয়ের কাছ থেকে ভূমি ক্রয়ের পর থেকে আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে একি এলাকার ভূমিদস্যু ইন্নুছ আলী, রফিকুল ইসলাম ও নরুল ইসলাম গংদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ হয়ে আসছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার শালীসি বৈঠকের আয়োজন করে কোন সমধান হয়নি। আপোষ মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে আশরাফ উদ্দিন ২০১৭ সালে ময়মনসিংহ মাননীয় প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি মামলা করেন। পরবর্তীতে আদালত বিরোধীয় জমিতে উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেই। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ২০২২ সালে ইন্নুছ আলী, রফিকুল ইসলাম ও নরুল ইসলাম এলাকার ১০\১২ ঘন্ঠা পকৃতির গংদের নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে কিছু সংখ্যক কাঁঠমিস্ত্রী নিয়ে টিনের চালা নির্মাণের কাজ শুরু করেন। আশরাফ উদ্দিন দখলের কাজে বাধা দিলে অভিযুক্তরা তাকে প্রাণেশেষ করার হুমকি দেই। আশরাফ উদ্দিন গরীব হওয়ায় এলাকার লোকজন আশরাফ উদ্দিন পক্ষে কোন কথা বলে নাই।