মোঃ খান সোহেল , নেএকোণা প্রতিনিধি:৩০ জুন-২০২২,বৃহস্পতিবার।
নেএকোণা প্রতিদিনই বন্যার পানি কমছে,আশ্রয় কেন্দ্রগুলো থেকে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। দৃশ্যমান হচ্ছে রাস্তাঘাট ও বাড়ীঘরের ক্ষয়ক্ষতি। ত্রান বিতরণ ও চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে ১৯ পদাতিক ডিভিশন, ঘাটাইল এরিয়া সেনাবাহিনী, তবে জেলার খালিয়াজুরি, কলমাকান্দা, মোহনগঞ্জ, দুর্গাপুর, মদন ও বারহাট্টা এই পাঁচ উপজেলাসহ সারা জেলায় এখনো লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। এদিকে মোহনগঞ্জের মাঘান সিয়াদার ইউনিয়নের ঘোড়াউত্রা গ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা পাঁচ শতাধিক বর্ন্যাত মানুষের মাঝে ত্রান বিতরণ ও চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। এসময় ঘোড়াউত্রা গ্রামে বর্ন্যাত মানুষের মাঝে ত্রান বিতরণ করেন, সেনাবাহিনীর ডিজি,এমএস মেজর জেনারেল মোঃ মাহবুবুর রহমান, ১৯ পদাতিক ডিভিশন, ঘাটাইল এরিয়া, জিওসি মেজর জেনারেল নকীব আহমেদ চৌধুরী। অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন,সেনাবাহিনীর ৭৭ ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাহবুবুর রহমান,৮ ইস্ট বেঙ্গল টাস্কফোর্স কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ইমতিয়াজুর রহমান,মোহনগঞ্জ আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন নাজমুল সাকিব,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ,মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহম্মেদ আকঞ্জিসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় জানায়,জেলার আট উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র এখনো ২৯ হাজার ৯২৮ জন বর্ন্যাত মানুষ অবস্থান করছেন। বন্যার পানিতে এপর্যন্ত ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ। মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহম্মেদ আকঞ্জিজানান, বন্যার পানি কমে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। আর এখনো যারা আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন তারাও বাড়ি ফিরতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর বন্যায় বেশী ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়ীর তালিকা তৈরী করা হচ্ছে তাদের সরকারী সহায়তা দেয়া হবে। বন্যা কবলিক মানুষের মাঝে প্রশাসনের ত্রান কার্যক্রম অব্যাহত আছে।