নিজস্ব প্রতিবেদক:: :০১ জুলাই-শুক্রবার
হলি আর্টিজানে নিহত এসি রবিউল করিমের ছবি সম্বলিত মানিকগঞ্জ পুলিশ লাইন্স এর গেইটে তার ম্যুরালে আজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় মানিকগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ গোলাম আজাদ খান পিপিএম- সহ পুলিশ কর্মকর্তাগন শ্রদ্ধাঞ্জলি পুষ্প্যস্তবক অর্পণ করেন ।
এ উপলক্ষে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের উদ্যোগে শোক র্যালি ও স্বরণ সভা অনুষ্ঠত হয় । এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হতে পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ও অর্থ) মোহা: হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবালয় সার্কেল নুরজাহান লাবনী,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অপু মোহন্ত , সদর থানার অফিসার ইরচার্জ(ওসি) আব্দুর রৌফ সরকার, মানিকগঞ্জ সহ জেলার অন্যান্য অফিসার-ফোর্স বৃন্দ।
উল্লেখ্য রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ৬ বছর আজ। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে জঙ্গি হামলায় ১৭ জন বিদেশিসহ নিহত হন মোট ২২ জন। তাদের মধ্যে দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা তাদের একজন হলেন মানিকগঞ্জের কৃতি সন্তান ও ডিএমপি, ঢাকার সিনিয়র এসি রবিউল করিম । জঙ্গিদের গুলি ও বোমায় আহত হন পুলিশের অনেকে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর প্লটের হলি আর্টিজান ও ওকিচেন রেস্তোরায় জঙ্গি হামলার ঘটনায়
৯ জন ইটালির নাগরিক, ৭ জন জাপানি নাগরিক, ১ জন ভারতের নাগরিক, ৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও দুই জন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২৩ জন নিহত হন।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর অপারেশন থান্ডার বোল্ড অভিযানে ৫ জঙ্গি নিহত হয়। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনার জের ধরে পরবর্তীতে সারাদেশেপুলিশ ও র্যাব ২৭ টি জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালায়। এতে ৭৩ জন জঙ্গি (পুরুষ ও নারী) নিহত হয়। অভিযান চালাতে গিয়ে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার
পরিচালক লে.কর্নেল আবুল কালাম আজাদসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তা এসি রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন নিহত হন।
সেই হামলার বিচারের রায়ে সাতজনকে মৃত্যূদন্ড দেয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন রবিউল ইসলামের স্ত্রী উম্মে সালমা।
অদ্য ০১/০৭/২০২২ খ্রিঃ লোমহর্ষক হলি আর্টিজান বেকারীতে জঙ্গী তৎপরতায় নৃশংসতার ছয় বছর পূর্ণ হল। উক্ত জঙ্গী তৎপরতায় মানিকগঞ্জের কৃতি সন্তান ও
ডিএমপি, ঢাকার সিনিয়র এসি, রবিউল করিম জঙ্গীদের ছোড়া গ্রেনেড হামলায় নির্মমভাবে নিহত হন। #####