বিজয় রজক কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ০২ জুলাই-২০২২,শনিবার।
নেত্রকোণার কেন্দুয়ার উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের কবিচন্দ্রপুর গ্রামের মৎস্য চাষী আসাদুল আমিনের পুকুরের মাছ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর অতি টানা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে মাছ ভেসে যাওয়ায় স্বপ্ন ভেঙ্গে ক্ষতির মুখে পরেছেন মৎস্য চাষী আসাদুল আমিন।
মৎস্য চাষী আসাদুল আমিন জানান, গত কয়েক বছর আগে ১ একর ৮০ শতক জমিতে মাছ চাষ করার জন্য ৩টি পুকুর খনন করি। প্রতি বছরই বিভিন্ন ধরণের মাছ চাষ করে আসছি। মাছ চাষ করে বিক্রি করে খরচ বাদে যা আয় হয় তা দিয়েই আমার সংসার চলে। এবারও তিনটি পুকুরে শিং, পাবদা এবং আরো দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ করেছিলাম, কিন্তু উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর অতি বৃষ্টির পানিতে পুকুর তলিয়ে সব মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
তিনি আরো জানান, আমার পুকুরের মাছ গুলো বিক্রির উপযুক্ত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু এভাবে যে বন্যার পানি চলে আসবে কে জানত।পুকুরের রক্ষনাবেক্ষন, মাছের পোনা ক্রয়, খাদ্য, বিভিন্ন ঔষধসহ এই পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে এবং প্রায় ১২ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল,যে আশায় মৎস্য খামার করে ছিলাম তা আর হল না। বাকিতে খাদ্য এবং ঔষধ ক্রয় ও ধারদেনা করে মাছ চাষ করেছি। তা বিক্রি করে মাছ চাষের সকল খরচ পরিশোধ করে যা আয় থাকত তা দিয়েই আমার সংসার চালিয়ে যেতাম।কিন্তু এখন সংসার চালানো দূরের কথা ধার দেনা করে ও দোকান থেকে খাদ্য ও ঔষধ ক্রয় করা টাকা কোথায় থেকে দেব তার কোন রাস্তা খুঁজে পাচ্ছি না।
তাই সরকারের সাহায্য কামনা করছি।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল আলম জানান, এই তালিকায় উপজেলার নিচু এলাকার ইউনিয়ন গুলির পুকুর ও মৎস্য খামার মালিকগন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা তালিকা তৈরি করেছি, তালিকা উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।