নিজস্ব প্রতিবেদক:: ২৯ জুলাই, ২০২২ শুক্রবার।
শুক্রবার ছুটির দিন। রোজকার পড়াশুনার চাপ থেকে থেকে ক্ষণিকের মুক্তি পেতে শিক্ষকের সঙ্গে ঝরনা দেখতে গিয়েছিল তরতাজা প্রাণগুলো। হয়তো যাওয়ার আগে মাকে বলে গিয়েছিল পছন্দের খাবার রাঁধতে। শিক্ষকদের হয়তো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ঝরনা থেকে ফিরে পড়াশুনাতে আরও মন দেবে। তবে সব হয়তো, হয়তোই থেকে গেল। জীবনের সব হিসাবনিকাশ অকালেই চুকিয়ে একসঙ্গেই লাশ হয়ে ফিরলেন তরতাজা তরুণ প্রাণ।
শুক্রবার সকালে শিক্ষক, ছাত্রসহ তারা ১৮ জন মাইক্রোবাসে করে খৈয়াছড়া ঝরনায় ঘুরতে গেছিলেন। ফেরার পথে শুক্রবার বেলা সোয়া ১টার দিকে মীরসরাইয়েয়ের বড়তাকিয়া রেলস্টেশন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে একটি লেভেল ক্রসিংয়ে উঠে পড়া পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের সবাই ছিলেন একটি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আমানবাজারের আর অ্যান্ড জে প্রাইভেট কেয়ার নামে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।
এক তুড়িতে সব সম্ভব করার বয়সটি পার করেছিলেন তারা। মা-বাবাকে ছেড়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে হঠাৎ করে বড় হয়ে যাওয়ার লাইসেন্স পাওয়ার বাঁধভাঙা আনন্দ ছিল তাদের চোখে। ছিল এক সময় সত্যি সত্যিই বিশ্বজয়ের আকাঙ্ক্ষা। সেই আনন্দই ধরা দেয় ঝরনা দেখতে যাওয়ার সময় কোচিং সেন্টারের সামনে তোলা একটি গ্রুপ ছবিতে।
তবে মুহূর্তের ভুলে থমকে যায় স্বপবাজ সেই তরুণদলের জীবন। বিশ্ব করে মা-বাবার মুখে হাসি ফোটানো আর হয় না। হাজারো স্বপ্নের ইতি ঘটে ট্রেনের ধাক্কায়। সেই গাদাগাদি করে বাস মাইক্রোবাসের ভেতর শেষ মুহূর্তে বন্ধু আর শিক্ষকদের সঙ্গী করেই এক সঙ্গেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তারা।