এস.এম রুবেল আকন্দ: ত্রিশাল(ময়মনসিংহ) :০৭ আগস্ট-২০২২,রবিবার।
বাঙালির প্রাণের খেলা হা-ডু-ডু তবে নানা প্রতিবন্ধকতায় জাতীয় খেলা আজ বিচারণ সংকীর্ণ সেই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে। নতুনড প্রজন্মের কাছে খেলাটির জনপ্রিয়তা বাড়াতে খেলার আয়োজন করেন। ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা ধানীখোলা ইউনিয়নে ধানীখোলা উত্তর মধ্যভাটিপাড়া শতাব্দী স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে ধানীখোলা উত্তর মধ্যভাটিপাড়া বনাম ভাওয়ালীয়াপাড়া দলের মধ্যকার হা-ডু-ডু ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার ধানীখোলা নাগেশ্বরী ব্রিজ সংলগ্ন ইটভাটা মাঠে (৫ জালুই ২০২২) শুক্রবার বিকেলে হা-ডু-ডু ফাইনাল খেলার আয়োজন করেন। হা-ডু-ডু ফাইনাল খেলায় সভাপতিত্ব করেন, ধানীখোলা ভাটিদাস পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মনসুর। হা-ডু-ডু ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন, ১নং ধানীখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ সোহেল। ইউপি’র চেয়ারম্যান বলেন, জুয়া, ইভটিজিং ও মাদকের কবল থেকে রক্ষা করতে যুব সমাজের রক্ষায় বিভিন্ন বিনোদন হা-ডু-ডু সহ নানান ধরনের খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার প্রয়োজন। খেলাধুলার মাধ্যমে শরীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে, লেখাপড়ায় অগ্রাধিকার দিয়ে খেলাধুলার প্রতি সকলের মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। খেলাধুলা একজন খেলোয়াড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় অভ্যস্থ করে তুলে। খেলার মাধ্যমে ভাল খেলোয়াড় তৈরি হলে তারা দেশে বিদেশে সুনাম বয়ে আনতে পারবে। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে খেলাধুলার প্রতি মনোযোগী হতে হবে হা-ডু-ডু ফাইনাল খেলায় এসব মন্তব্য করে। মামুনুর রশিদ সোহেল আরও বলেন, একটি সুস্থ জাতি দেশের উন্নয়নের অন্যতম নিয়ামক। সুস্থতা রক্ষায় খেলাধুলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই শিক্ষার্থীসহ যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ অতিথি উপস্থিতি ছিলেন, ১নং ধানীখোলা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান শরীফ উদ্দিন তরফদার বকুল, ইউপি’র ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য সিরাজুল ইসলাম ছুতি, ইউপি’র ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল রশীদ, মেসার্স প্রভা প্রত্যয় ফিড মিল সত্বাধীকারী কামরুল কবির, মেসার্স রিমন রিজন ফিড মিল সত্বাধীকারী তানভীর আহমেদ, ইউপি’র ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য রুবেল আমীন, ইউপি’র সচিব নজরুল ইসলাম, মেসার্স জননী ফিড মিল সত্বাধীকারী আব্দুল কাদের জিলানী, ইউপি’র ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য দিদারুল ইসলাম দিদার প্রমূখ ছিলেন। খেলাটির আয়োজক কমিটি জানান, বর্তমানের যদি এই নতুন প্রজন্মকে বলা হয় হা-ডু-ডু খেলার নিয়ম সম্পর্কে তারা কেউ বলতে পারবেনা। প্রত্যেক এলাকায় যদি এমন উদ্যোগ নিয়ে নিয়মিত খেলাটি আয়োজন করা হয় তাহলে ঐতিহ্যবাহী এই খেলাটি তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়তা পাবে সেই সাথে আমরা পাব হারিয়ে যা ঐতিহ্য।