হাবিবুর রহমান,প্রতিনিধি ঈশ্বরগঞ্জ(ময়মনসিংহ):১০ আগস্ট-২০২২,বুধবার।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে আঠারবাড়ী রায়ের বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের বস্তা দিয়ে নিন্মমানের ধান ক্রয় করেছে। সরজমিন গিয়ে দেখা গেলে রায়ের বাজারের ধান ব্যবসায়ী শ্রীধর সেন ও দুলাল মিয়ায় ঘর থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারী বস্তায় নিন্মমানের ধান প্যাকেটিং করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া জানান, ইতোমধ্যে ৯৭৫বস্তা ধান গোদামে দেয়া হয়েছে। বুধবার আরো ৩০০ বস্তা ধান গোদামে দেয়ার জন্য প্যাকেটিং করা হয়েছে। নিন্মমানের ধান সম্পর্কে তিনি বলেন, বাজারের ধানের দাম বেশি হওয়ায় একটু কম দামের ধান গোদামের জন্য প্যাকেটিং করা হচ্ছে, বিষয়টি তাদেরও জানা।
নিন্মমানের ধান দেয়ার বিষয়ে আরএক ব্যাবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, ধানের মান যাই হোক, ম্যানেজ করেই করা হচ্ছে। আমি ৭৫বস্তা ধান দিয়েছি।
আঠারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান জুবের আলম রুপক বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের বস্তায় পঁচা নিন্ম মানের ধান কিনছে। আমি নিজে দেখে প্রতিবাদ করেছি। আবারও তারা অনিয়ম শুরু করেছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলা মোট ২৬০০মেট্টিক টন ধান ক্রয় করার কথা এর মধ্যে ঈশ্বরগঞ্জ এলএসডি গোদাম ১৭৫০ মেট্টিক টন, আটারবাড়ী এলএসডি গোদাম ধান ক্রয় করার কথা ৮৫০মেট্টিক টন। কিন্তু বাজার মূল্য বেশি থাকায় কৃষকের কাছ থেকে ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
আঠারবাড়ী খাদ্য গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা(ওসিএলএসডি)মহিউদ্দিন আল আতাহার বলেন, চলতি বছরের ধান ক্রয়ের লক্ষমাত্রা পুরন প্রায় শেষে পর্যায়ে। বাজারের খাদ্য অধিদপ্তরের বস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিচিত কৃষকদের বস্তা দেয়া যায়। ব্যবসায়ীরা কৃষকের নামে বস্তা নিয়েছেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকতা জয়নুল আবেদীন বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের বস্তা বাইরে দেয়ার নিয়ম নেই তবে বিশ্বস্ত কৃষককে ধান যাচাই বাচাই করে বস্তা দেয়া হয়।
উপজেলা খাদ্য ক্রয় কমিটির সভাপতি নির্বাহী অফিসার হাফিজা জেসমিন বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের কোন বস্তা বাইরে দেয়ার নিয়ম নেই, বিষয়টি আমি দেখছি। ##