
বিজয় রজক, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ১১ আগস্ট-২০২২,বৃহস্পতিবার।
কেন্দুয়ায় শিক্ষকসহ শিক্ষা অফিসে জনবল সংকটের কারণে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কেন্দুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ১৩টি পদের মধ্যে ৮টি পদই শূন্য থাকায় সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন দায়িত্বরতরা। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলায় একটি পৌরসভাসহ ১৩টি ইউনিয়নে মোট ১৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে পূর্ণ প্রধান শিক্ষক ৯১ জন এবং চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক রয়েছেন ৪৪ জন। সেখানে প্রধান শিক্ষকেরই পদ শূণ্য রয়েছে ৪৭টি। এছাড়া অনুমোদিত সহকারি শিক্ষক পদ ৮৫৭টির মধ্যে কর্মরত আছেন ৭৮৬ জন। শূন্য রয়েছে ৭১টি পদ। অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, কেন্দুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অনুমোদিত পদগুলো হল- উপজেলা শিক্ষা অফিসার ১জন, সহকারি শিক্ষা অফিসার ৭জন, অফিস সহকারি ৪জন এবং ১জন অফিস সহায়ক। তার মধ্যে কর্মরত আছেন, সহকারি শিক্ষা অফিসার ৩জন এবং ১জন অফিস সহায়ক। ১৩ জনের কাজ ৪ জনে করতে হচ্ছে। যেকারণে তাদের যেমন বেগ পেতে হচ্ছে তেমনি অফিসিয়াল কাজে এসে শিক্ষকদেরও পড়তে হয় ভোগান্তিতে। এসব পদ শূন্য থাকায় একদিকে যেমন নিয়মিত বিদ্যালয় তদারকি হয় না তেমনি দাপ্তরিক সেবা নিতে গ্রাম থেকে শিক্ষকরা এসে ঘন্টার পর ঘন্টা শিক্ষা অফিসে অপেক্ষা করতে হয়। আরো জানা গেছে, উপজেলার ১৮২টি স্কুল নিয়ে ৭টি সাব ক্লাস্টার গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে সাব ক্লাস্টারগুলোর মিটিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি চালু হয়েছে মাসিক সমন্বয় সভা। ইত্যাদি বিষয়ে কথা হলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জামিরুল হক বলেন, শিক্ষা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য থাকায় শিক্ষকরা অফিসের কাজে এসে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। জনবল সংকটের কারণ দেখিয়ে শিক্ষকদেরকে ঘোরানো হচ্ছে। তাছাড়া অফিসের শৌচাগার না থাকায় শিক্ষিকাদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। সভাপতি শফিকুর রহমান বলেন, জনবল সংকটের পাশাপাশি আমাদের অনেকগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথের সমস্যা রয়েছে। বন্যার কারণে এ সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। বেশ কিছু স্কুলের প্রবেশ পথ না থাকায শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে সমস্যা হয়। শিক্ষার পরিবেশ ভালো রাখার জন্য বিদ্যালয় গুলোতে বাউন্ডারীর প্রয়োজন। জরুরী ভিত্তিতে শিক্ষকসহ শূন্যপদগুলো পূরণ করতে তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য থাকায় অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্কুলেই প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারি রাজিব রানা বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ ১৩ পদের ৯ পদই শূন্য থাকায় ১৩জনের কাজ ৪ জনে করতে হচ্ছে। এতে আমাদের প্রতিদিন হিমসিম খেতে হয়। ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার লিপি বলেন জনবল সংকটনের কারণে শিক্ষা কার্যক্রমে কিছুটা বেঘাত তো সৃষ্টি হচ্ছে।