মোঃ শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, তাড়াশ উপজেলা প্রতিনিধি:৩০ আগস্ট-২০২২,মঙ্গলবার।
বর্ষার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চলনবিলে অবাধে শামুক ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১ থেকে ২ টন শামুক ধরা হচ্ছে। এতে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শামুক ধরা বন্ধে আইন থাকলেও তা প্রয়োগ হচ্ছে না। বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এর ধারা ৬ ও ৩৪-এ বলা হয়েছে, অনুমতি ছাড়া বন্য প্রাণী শিকার, ওঠানো, উপড়ানো ও ধ্বংস বা সংগ্রহ করা যাবে না। এ ছাড়া ক্রয়-বিক্রয় বা আমদানি-রপ্তানি করা যাবে না। এ নিয়ম না মানলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ অপরাধের জন্য এক বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে। ২০১২ সালের ১০ জুলাই প্রকাশিত সরকারি প্রজ্ঞাপনে শামুককে বন্য প্রাণী হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ রাজশাহী কার্যালয়ের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোল্যা রেজাউল করিম জানান, পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণী একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। এখন শামুকের প্রজনন সময়। এই মৌসুমে শামুক ধরা হলে প্রজনন ব্যাহত হবে। শামুকখেকো অন্য প্রাণীরা খাদ্যসংকটে পড়ে মারা যাবে। ফলে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এক শামুক ব্যাবসায়ী মোঃ জাহিদুল ইসলাম জানান আমরা এক বস্তা শামুক ১২০-১৫০ টাকায় ক্রয় করে থাকি।
এক শামুক সংগ্রহকারী মোঃ জয়নাল জানান আমি দিনে প্রায় ৪-৫ বস্তা শামুক সংগ্রহ করতে পারি এবং তা বিক্রি করে ৭০০-৭৫০ টাকা দিনে আয় করতে পারি।