মাহমুদুল হাসান, চৌহালী প্রতিনিধিঃ০৪ সেস্টেম্বর=২০২২,রবিবার।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা বেষ্টিত উমারপুর ইউনিয়নের নদী ভাঙন কবলিত অসহায় হত দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যের চালের কার্ড করে দেয়ার কথা বলে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও ১০০০ করে টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায় দূর্গম ঘোষিত চৌহালী উপজেলার উমারপুর ইউনিয়ন কয়েকটি দ্বীপচর নিয়ে গঠিত, ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অসাধু গ্রাম্য মাতব্বর সহ ইউপি সদস্যরা গড়ে তুলেছেন অনিয়ম-দূর্নীতির আখড়া। জানা যায় ইউপি সদস্যরা তাদের বিশ্বস্থ সহযোগীর মাধ্যমে চরের অসহায় সহজ সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে প্রতারণা করে আসছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি চালের কার্ড দেয়ার কথা বলে এক হাজার করে টাকা নেয়ার অভিযোগে দুই ইউপি সদস্য ও তাদের সহযোগী সহ মোট ৯জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
ভুক্তভেগী আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ হুমায়ুন ইসলাম সহ তার ৩ সহযোগী মোছাঃ ফয়জুন বেগম, মোঃ হাকিম বিএসসি ও ইউসুফ আলী’র বিরুদ্ধে ও মোঃ আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ১,২,৩ নং ওয়ার্ড এর সংরক্ষিত সদস্য মোছাঃ ফুলিনা খাতুন সহ তার ৪ সহযোগী কামরুল হাসান, ছাদিয়া খাতুন, আঃ আলিম ও রফিক মোল্লা’র বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট চৌহালী থানা আমলী আদালত সিরাজগঞ্জে হাজির হয়ে মামলা দায়ের করেন।
যার মামলা নং ৬৭/২২,চৌ, ৬৬/২২চৌ।
ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান বলেন- আমি গরিব মানুষ, হুমায়ুন মেম্বার বার বার বলে আইডি কার্ডের ফটোকপি ও ১০০০ টাকা জমা দিও তোমাকে ৩০ কেজি চালের কার্ড করে দেবো। পরে তার সহযোগীরা এসে বুঝালে আমি টাকা দেই কিন্তু প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হলেও কার্ড না দেয়ায় টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা শুরু করে তাই বাধ্য হয়ে মামলা দিয়েছি।
আরেক ভুক্তভোগী আব্দুস সালাম বলেন ১০০০ টাকা জমা দিয়ে মাসের পর মাস ঘুরছি কিন্তু কার্ড পাইনি টাকাও ফেরত পাচ্ছি না তাই মামলা করেছি।
এব্যাপারে জানতে দুই ইউপি সদস্যকে মুঠোফোনে কল দিলে নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
উমারপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন মন্ডলের কাছে জানতে তিনি বলেন সব মেম্বারের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ পেয়েছি। আমি তাদের টাকা নেয়ার প্রতিবাদ করায় তারা আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব করেছে।
##