সাব্বির মির্জা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :০৮ সেপ্টেম্বর-২০২২,বৃহস্পতিবার।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ডিলারদের বরাদ্দকৃত রাসায়নিক সার উত্তোলন ও সঠিক দামে বিক্রি ব্যবস্থা কঠোরভাবে তদারকি করা হচ্ছে। চলতি রোপা আমন মৌসুমে যেন কোনভাবেই সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকের কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা নিতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ রয়েছেন কৃষি বিভাগ।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বিসিআইসির ১২ জন এবং বিএডিসির ১৭ জন রাসায়নিক সার ডিলার রয়েছেন। সেসঙ্গে এ উপজেলায় মোট ৭২ জন খুচরা সার বিক্রেতা নিয়মিত সার বিক্রি করে আসছেন। চলতি সেপ্টেম্বর মাসে রাসায়নিক সার বরাদ্দের পরিমাণ ইউরিয়া ৫৮৯ মেট্রিক টন, টিএসপি ৯০ মেট্রিক টন, ডিএপি ২১৪ মেট্রিক টন ও এমওপি ১১৯ মেট্রিক টন সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
প্রতি কেজি সারের বিক্রি দাম ইউরিয়া ২২ টাকা, টিএসপি ২২ টাকা, ডিএপি ১৬ টাকা ও এমওপি ১৫ টাকা করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। আর এ বরাদ্দকৃত সার যেন কৃষকেরা সঠিক মূল্যে কোন প্রকার বিড়ম্বনা ছাড়াই পায় সে জন্য প্রতিটা ডিলারের ঘরে সার্বক্ষণিক তদারকি করে চলছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।
আর উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নাহার লুনার নেতৃত্বে অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. আব্দুল মমিন কঠোরভাবে মনিটরিং করছেন। কোথাও কোন প্রকার অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণও করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগের এমন তদারকিতে অনেকটা খুশি এ এলাকার কৃষকেরা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, তাড়াশ উপজেলায় সব ধরণের রাসায়নিক সারের পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুদ আছে। কোনো প্রকার সংকট নেই। ডিলারদের বরাদ্দকৃত সার সঠিক পরিমাণ উত্তোলন এবং বিক্রি ব্যবস্থা আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। এছাড়া কৃষকদের কাছে সার বিক্রি করে রশিদ দেয়া নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকারি দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করা হলে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।