এইচএম মোকাদ্দেস, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:১২ সেপ্টেম্বর-২০২২,সোমবার।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল আর সেই সাথে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। দিনের পর দিন পানি বৃদ্ধিতে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন নদীপাড়ের মানুষগুলো।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে পানির সমতল ১২ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার যা বর্তমানে বিপদ সীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ১৪ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার যা বিপদ সীমার ৪০ সেঃমিঃ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর ) এতথ্য নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক আব্দুল লতিফ।
এদিকে যমুনায় দ্রুত পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার চৌহালী, শাহজাদপুর ও কাজিপুর অংশে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। প্রতিদিনই ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে বলে দাবী স্থানীয়দের।
জেলার চৌহালী উপজেলার শহিদুল ইসলাম জানান, গত ৫-৬ দিন হলো নদীর পানি নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। এখানে পানি বাড়ার সাথে সাথে নদী তীরে ভাঙতে শুরু করে। আবার পানি কমে যাবার সময়ও ভাঙ্গে। এবছর বন্যার পাানি নদীতে প্রবেশ করার পর থেকে প্রায় শতাধিক বসতভিটা নদীতে বিলিন হয়েছে। আর সাথে প্রতিদিন তো ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে।
শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর গ্রামের কাসেম আলী জানান, গত দুদিন আগে এই গ্রামের তিনটি বসত ভিটা ভেঙে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়াও প্রতিদিনই নদীর পাড় ভাঙছে। ভাঙন আতংকে অনেকে ঘর বাড়ি নিরাপদ স্থানে সড়িয়ে নিচ্ছে ৷
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে গত ৫-৬ দিন হলো যমুনা নদীর পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। পানি বাড়াতে অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। তবে এই পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে না। তিনি আরও বলেন, যমুনা নদীর পানি আরও ৫-৭ বৃদ্ধি পেতে পারে।#######