শরিফুল ইসলাম ,নড়াইল প্রতিনিধি:১৩ অক্টোবর-২০২২,বৃহস্পতিবার।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর এসি (অম্বিকাচরণ) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ,অনিয়ম-দূর্নীতির প্রতিবাদ এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক তামান্না খানমকে সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের আটশতাধিক শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনসহ বিক্ষোভ মিছিল করে । পরে শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।
বুধবার উপজেলার কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগের প্রতিবাদ এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক তামান্না খানমকে সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে প্রায় আট শতাধিক শিক্ষার্থী সকাল থেকে ক্লাস বর্জন করে দফায় দফায় এড়েন্দা বাজারসহ আশপাশের এলাকায় বিচারের দাবীতে প্রায় দু’ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ মিছিল করে।
দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী লামিয়া খানম,তৌফিক ইমাম,মুনতাহিমা, তাসকিয়া খানম, সপ্তম শেনীর শিক্ষার্থী ইমন, প্রসেনজিৎ বলেন, প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম -দূর্নীতির কারনে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। সহকারী প্রধান শিক্ষক তামান্না খানমকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় আমাদেরকে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা শিক্ষক তামান্নার পুর্ণঃবহাল ও প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়মের সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কাশিপুর ইউপির চেয়ারম্যান মোঃ মতিয়ার রহমান বিদ্যালয়ে গিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজগর আলী এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ ভ‚ইয়া বিদ্যালয়ে ছুটে যান । এ সময় তারা ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং সৃষ্ট ঘটনার বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যায়।
প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সহকারী প্রধান শিক্ষক তামান্না খানমকে প্রথমে কারন দর্শানো চিঠি দেওয়া হয় । এর জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজগর আলী বলেন,ঘটনাস্থলে পৌছে বিক্ষুদ্ধ শির্ক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।