এদিকে, ভাঙ্গন আতংকে নদী পাড়ের আশপাশের মানুষ তাদের বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। ঝুকিতে রয়েছে পাশের নদী তীর রক্ষা বাধের ওপরে নির্মিত রানীগ্রাম-রতনকান্দি আঞ্চলিক সড়ক।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনজিত কুমার কর্মকার জানান, সিমলা স্পারের পাশে ওই স্থানটিতে গত বছর ভেঙ্গে গিয়েছিল। সেখানে অস্থায়ীভাবে মেরামত কাজও করা হয়েছিল। স্থায়ী মেরামতের জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার আহবান করা হলেও কাজ শুরু হয়নি। এ অবস্থায় রোববার ভোর থেকে নদীর পূবের ভাঙ্গন স্থানে আঘাত হানায় সেখানে আবারও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ভাঙ্গন স্থানের আশপাশের ২০/২৫টি বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ভাঙ্গনের কারনে ঝুকিতে রয়েছে পাশের নদীতীর রক্ষা বাধের ওপরে নির্মিত রানীগ্রাম-রতনকান্দি আঞ্চলিক সড়ক।
স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী আব্দুল বাছেদসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে আশপাশের এলাকা থেকে অবৈধভাবে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারনে নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় এ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে পূর্বের ভাঙ্গন স্থানের অন্তত: ১০০ থেকে ১৫০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গনরোধে জিওব্যাগ ফেলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি দুই/একদিনের মধ্যে ভাঙন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।