সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ঘিওরে নানা আয়োজনে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত মানিকগঞ্জে হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি, ৩ ঘন্টা পর উদ্ধার সিরাজগঞ্জে মসজিদের টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত-১ আছিয়ার শোক শেষ না হতেই সিরাজগঞ্জে ৯ বছরের শিশু ধর্ষনের শিকার সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে একটি গণতান্ত্রিক  সরকার ব্যবস্থা দ্রুত দরকার—– ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আবারো উড়লো জুলহাসের বিমান, যমুনা পাড়ে উৎসবের আমেজ মানিকগঞ্জের যুবক তৈরি করলেন বিমান সহযোগিতায় পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান দৌলতপুরে নতুন ওসি আল মামুন ও সিংগাইরে তৌফিক আজম যোগদান করেছেন সারা বছরই সূলভ মূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রি করা হবে ………মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মানিকগঞ্জে কারখানায় ডাকাতি, গ্রেফতার ১১

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ৬১অবৈধ করাতকল 

প্রতিনিধির নাম:
  • আপডেট করা হয়েছে: শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১৭৮ দেখা হয়েছে:
মোঃ জুলহাজুল কবীর নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর :২৮ জানুয়ারি-২০২৩,শনিবার।
 করাতকল বিধিমালা, ২০১২-মোতাবেক, কোনো সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান এবং জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে এমন স্থান থেকে কমপক্ষে ২০০ মিটার এবং সরকারি বনভূমির সীমানা থেকে কমপক্ষে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ করাত কল। দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে এসব করাতকল। রাস্তার আশপাশসহ বিভিন্ন জনসমাগম এলাকায় গড়ে উঠছে করাতকল। এগুলোতে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে অনেক ফলদ, ঔষুধি এবং বনজ  গাছ। রাতে কিংবা দিনে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে কাঠ চেরাই। এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের তদারকির অভাবে গভীর রাত পর্যন্ত নিয়মনীতি উপেক্ষা করে চালু করে রাখা হয় এসব অবৈধ করাতকল। এছাড়া সকাল ৬ টার পূর্বে ও সন্ধ্যা ৬ টার পরে করাতকল চালানোর নিয়ম না থাকলেও এসব তোয়াক্কা করছেন না অবৈধ করাতকল মালিকরা। আবাসিক এলাকা,প্রধান সড়ক এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে এসব করাতকল। এসব করাতকলের নেই কোন সরকারি অনুমতিপত্র কিংবা লাইসেন্স । পরিবশে অধিদপ্তর কিংবা বনবিভাগের কোন অনুমুতি ছাড়াই দিনরাত চলছে এসব করাতকল। এতে আবাসিক এলাকায় রাতে মানুষ ঠিক মত ঘুমাতে পারছে না। নিয়মনীতি উপেক্ষা করে সড়কের পাশে করাতকল  স্থাপন করায়, যেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের, তেমনি পাড়া-মহল্লায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা করাতকলের  কারণে বিকট শব্দে ভোগান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষসহ আশপাশের কোমলমতি শিশুসহ ছাত্র-ছাত্রীদের। অবৈধ করাতকল মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট দফতর এবং দায়িত্বপ্রাপ্তকে মেনেজ করে চালানো হচ্ছে এসব করাতকল।  করাতকলগুলো নাকি মাসোহারা ভিত্তিতে নিয়মিত চাঁদা দেয়। এসব মেনেজমেন্টের কাজ করেন উপজেলা সদরের জনৈক করাতকল মালিক । পুরো উপজেলার মিলগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন তিনিই ।  বনবিভাগের বিরামপুর রেঞ্জের কর্মকর্তাকেও দিতে হয় মাসোয়ারা।  বন বিভাগের তথ্যমতে, উপজেলায় মোট ৬১ টির বেশী স’মিল রয়েছে। যার মধ্যে ১টিরও কোন প্রকার অনুমতিপত্র নেই। উপজেলার দাউদপুর  এলাকার এক করাতকল মালিক জানান, সংশ্লিষ্ট দফতরকে ম্যানেজ করে মিল চালানো হচ্ছে। মিল নিয়ন্ত্রনের দায়িত্বে থাকা জনৈক ব্যক্তির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট মহলকে মেনেজ করে চলছে এসব করাতকল। এ ব্যাপারে বনবিভাগ চরকাই রেঞ্জের এক কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার মাসোহারা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন উপজেলা প্রশাসন যদি ব্যবস্থা নেয় তাহলে আমরা সহযোগিতা করব। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুজ্জামান সরকার  জানান, মোবাইল কোর্ট করে এসব মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আর্টিকেলটি শেয়ার করুন:

এই ক্যাটাগরির আরো খবর
© All rights reserved ©
themesba-lates1749691102