এইচএম মোকাদ্দেস ,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :০৯ অক্টোবর-২০২৪,বুধবার।
সিরাজগঞ্জ বি.এল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিম্নমানের টিফিন সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে ৯ম শ্রেনীর এক ছাত্রের অভিভাবক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত ওই অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, সিরাজগঞ্জ বনোয়ারী লাল (বি.এল) সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে টিফিনে প্রায়ই নিম্নমানের বাসি,পচা পুড়ি সিঙ্গারা সরবরাহ করা হয়। এগুলো খেয়ে ছাত্রদের পেটের অসুখসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এবিষয়ে একাধিক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মৌখিকভাবে অভিযোগ দিলেও প্রধান শিক্ষক কোন কর্ণপাত করেননি। তাই বাধ্য হয়ে নবম শ্রেণির মর্নিং সিফটের ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক আবুল কালাম আজাদ মোল্লা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জের সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বি.এল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায়ই বাসি পঁচা নিম্নমানের টিফিন সরবরাহ করা হয়। এতে ছাত্রদের পেটের অসুখসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। বিষয়টি আমার ছেলে আমাকে জানালে আমি বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানাতে বলি। তখন আমার ছেলেসহ বেশ কয়েকজন ছাত্র বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে বলতে গেলে তিনি সমাধান না করে উল্টো ছাত্রদের সাথে দূর ব্যবহার করেন। তাই বাধ্য হয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে বিএল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম খান বলেন, ছাত্রদের টিফিনের জন্য যে টাকা ধরা হয় তা দিয়ে হয় না। তরপরও একদিন বিষয়টি নিয়ে নবম শ্রেণির মর্নিং সিফটের বেশ কয়েকজন ছাত্র আমার কাছে এসেছিল আমি বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ার হোসেন বলেন, আমি অভিযোগটি পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মহোদয়কে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছি। এব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রোজিনা আক্তার বলেন, বিষয়টি এখনও আমার নজরে আসেনি আসলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।####