পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি :১০ অক্টোবর-২০২৪,বৃহস্পতিবার।
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪ বাস্তবায়নে বুধবার (৯ অক্টোবর) রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে জেলে পরিবারদের সমন্বয়ে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাংশা উপজেলা মৎস্য দপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাসুদুর রহমান রুবেলের সভাপতিত্বে সভায় পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সালাউদ্দিন ও হাবাসপুর ইউপির চেয়ারম্যান আল মামুন খান বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাংশা উপজেলা মৎস্য অফিসার সাঈদ আহমেদ।
সভাপতির বক্তব্যে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাসুদুর রহমান রুবেল বলেন, আগামী ১৩ অক্টোবর হতে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালিত হবে। সরকার ঘোষিত উল্লেখিত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়, ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দন্ডনীয় অপরাধ। এ আইন অমান্যকারীকে কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে। এ বিষয়ে পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সাথে সংশ্লিষ্ট জেলে পরিবারসহ সর্বস্তরের মানুষের সচেতন হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, অভিযানের সময় ২২ দিন ইলিশ আহরন থেকে বিরত থাকার জন্য সরকার জেলে পরিবারদের ভিজিএফসহ নানা সহায়তা কর্মসূচি চালু করেছেন। নিবন্ধিত সকল জেলে পরিবার এসব সুবিধা ভোগ করছেন। যারা সরকারী আইন অমান্য করবে তাদের ছাড় নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সালাউদ্দিন বলেন, প্রশাসনের সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নে পুলিশ যথাযথ ভূমিকা পালন করছে। মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪ কর্মসূচি বাস্তবায়নে পুলিশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
এদিকে, জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের আহবানে সাড়া দিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ২শ’ জেলে পরিবার মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের সময় ২২ দিন পদ্মা নদীতে ইলিশ আহরন থেকে বিরত থাকার অঙ্গীকার করে।
পাংশা উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার দেওয়ান মুহা. জাহাঙ্গীর হোসেন, পাংশা উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী মো. রাশেদুজ্জামান, হাবাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাকির হোসেন, হাবাসপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জিয়াউল হক জিয়া ও ইউপি মেম্বারগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জনসচেতনতা মূলক সভা শেষে হাবাসপুর ইউনিয়নের ২শ’ জেলে পরিবারের মাঝে ২৫ কেজি করে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়।