কালের কাগজ ডেস্ক:০৯ ডিসেম্বর-২০২৪,সোমবার।
ভারতে অসংখ্য মুসলমান ,খ্রিষ্ট্রান নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তাতে বাংলাদেশ কোন মাথা ঘামায় না অথচ দেশের অন্তবর্তী কালীন সরকার রাষ্ট্রবিরোধী কাজের জন্য সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতারে প্রতিবেশী দেশ ভারত তুলকালামকান্ড করছে ! বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের মিডিয়া ক্রমাগত মিথ্যাচারে লিপ্ত রয়েছে। ভারত বাংলাদেশ নিয়ে দিনরাত অহনিশি ডাহা মিথ্যা কথা প্রচার করে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি বিনষ্ট করতে উঠে পরে লেগেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি সোমবার বিকালে মানিকগঞ্জের শিবালয়ের রূপসা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে নিহত মানিকগঞ্জ জেলায় শহীদ রফিকুল ইসলাম, আফিকুল ইসলাম সাদ ও সায়াদ মাহমুদ খান এবং আহত সাকিব খান ও হাসনা হেনার পরিবারগুলির মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদানকালে একথা গুলো বলেছেন। ‘আমরা জিয়া পরিবার’ সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ‘আমরা জিয়া পরিবার সভাপতি আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে জেলঅ বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সত্যেনকান্ত পন্ডিত ভজনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি আফরোজা খান রিতা, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর উপদেষ্টা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে নিহত শহীদ রফিকের বাবা রহিজ উদ্দিন, শহীদ আফিকুল ইসলাম সাদের বাবা শফিকুল ইসলামও বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যদানকালে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হঠাৎ করেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত। বাংলাদেশের জনগণ যে সরকার চায়, ভারত তাদের পছন্দ করে না। তারা মনে করে পেঁয়াজ, রসুন, আদা বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে মরবে। তারা মনে করেন এসব পণ্য উৎপাদন আমাদের দেশ করতে পারবে না।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘তারা (ভারত) হয়ত মনে করেছে তারা বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো দেশ থেকে এসব পণ্য আনতে পারবে না। এটা সম্পর্ন ভুল ধারনা। তিনি আরো বলেন, ‘অন্যের জন্য গর্ত করলে যে, সেই গর্তে পরতে হয় তার প্রমান শেখ হাসিনা।
তিনি আপোষহীন নেতৃত্ব বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা অপরাধে কারাগারে বন্দী রেখেছিলেন। ছাত্র জনতার গনআন্দোলনের মুখে ২০০০ ছাত্র জনতার হত্যার দায় নিয়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছেন। তিনি ভেবেছিলেন তার প্রভু ভারত সরকার তাকে টিকিয়ে রাখবেন। কিন্তু পারেননি। তিনি বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদ এবং আহতদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞ থাকতে হবে।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের অবদানের কথা স্মরণ করতে তাঁদের নামে স্থাপনা ও সড়কের নামকরণ করতে হবে। বিএনপি জনগণের দল। আগামীতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে তাঁদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে।পরে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। #####