শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ধানমন্ডিতে উপদেষ্টা হাসান আরিফের প্রথম জানাজা সম্পন্ন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুদ্ধ করতে হবে— তারেক রহমান রায়পুরায় পুলিশের অভিযানে ১০০ রাউন্ড কার্তুজ সহ গ্রেফতার ১ ঘিওরে ছাত্রদলের সাবেক নেতা লাভলু হত্যা মামলায় আসামীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আওয়ামী লীগ এখনও স্বাধীনতা নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে – বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রিতা ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যার প্রতিবাদে,হরতাল-ভাংচুর- অগ্নিসংযোগ, উপজেলাজুড়ে আতংক বিরাজ করছে ঘিওরে সাবেক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা । আহত ৬ জন বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের মিডিয়া ক্রমাগত মিথ্যাচারে লিপ্ত — রুহুল কবির রিজভী দৌলতপুরে ৭৯৫ রোহিঙ্গা জন্মনিবন্ধনের অভিযোগ উঠেছে । তদন্ত কমিটি গঠন খুনি হাসিনাকে গণহত্যার দায়ে কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর জন্য দেশে আসতে হবে-         সাইদুর রহমান বাচ্চু

আজ বগুড়া হানাদার  মুক্ত দিবস

প্রতিনিধির নাম:
  • আপডেট করা হয়েছে: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৪ দেখা হয়েছে:
 ( বগুড়া) প্রতিনিধি : ১৩ ডিসেম্বর-২০২৪,
আজ ১৩ ডিসেম্বর বগুড়া হানাদার  মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে মিত্রবাহিনীর সহায়তায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে বগুড়া শহর মুক্ত করে। এর আগে ১৯৭১ সালে ১০ ডিসেম্বর ভোরে মিত্র বাহিনীর ৬৪ মাউন্টেন রেজিমেন্টি ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার প্রেম সিংহ এক ব্রিগেড সৈন্য নিয়ে বগুড়া শহরের ৩ কিলোমিটার উত্তরে নওদাপাড়া-চাঁদপুর ও ঠেঙ্গামারা গ্রামের মধ্যবর্তী স্থান লাঠিগাড়ি মাঠ সংলগ্ন বগুড়া রংপুর শহরে অবস্থান নেয়। তারা বগুড়া শহরে থাকা পাকিস্তানি সৈন্যদের অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে শহরে অভিযান পরিচালনার জন্য ট্যাংক নিয়ে শহর অভিমুখে মার্চ করে। ১০, ১১ ও ১২ ডিসেম্বর তুমুল যুদ্ধ হয়। ১৩ ডিসেম্বর সকালে সাঁড়াশি আক্রমণ শুরু হয় পাক বাহিনীর ওপরে। শহরের ফুলবাড়ী এলাকায় মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে পাক বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। তীব্র আক্রমণের মুখে পাকবাহিনী পিছু হটে। পরে ওইদিন দুপুরে ফুলবাড়ী সংলগ্ন শহরের বৃন্দাবন পাড়া এলাকায় পাক বাহিনীর প্রায় ৭০০ সৈন্য আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়। তাদেরকে বন্দী করে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয়ে মিত্র বাহিনীর হেফাজতে রাখা হয়। একইদিন অন্যান্য অংশের পাকবাহিনী বগুড়া পৌর পার্কে আশ্রয় নিলে সেখানেও আক্রমণ চালায় মুক্তিযোদ্ধারা। পরে পৌর পার্ক থেকে পাক বাহিনীর ১৩৭ জনকে আহত অবস্থায় আটক করেন মুক্তিযোদ্ধারা। সেখানে ৩৭ জন পাক সেনার মৃতদেহ পাওয়া যায়। একই দিন বগুড়া শহর ছাড়াও কাহালু, নন্দীগ্রাম ও দুপচাঁচিয়া থানা হানাদার মুক্ত হয়। এর আগে নভেম্বরের শেষদিকে সারিয়াকান্দি থানা প্রথম হানাদার বাহিনী মুক্ত হওয়ার পর একে একে বগুড়ার সোনাতলা, গাবতলী, শিবগঞ্জ, ধনুট, শেরপুর মুক্ত হয়। আদমদিঘী হানাদার মুক্ত হয় ১২ ডিসেম্বর। ফুলবাড়ীতে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের স্মরণে ২০০৫ সালে ‘মুক্তির ফুলবাড়ী’ নামে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় নির্মিত হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ স্কয়ার।##

আর্টিকেলটি শেয়ার করুন:

এই ক্যাটাগরির আরো খবর
© All rights reserved ©
themesba-lates1749691102