নিজস্ব প্রতিবেদক:২৮ ফেরুয়ারি-২০২৫,শুক্রবার।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় রাইজিং গ্রুপের পপুলার প্যাকেজ অ্যান্ড লি. এ ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও একটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার ইয়াসমিন খাতুন।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলার আশুলিয়া উপজেলার বাড়ইপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পাবনা জেলার আব্দুর রশিদের ছেলে লালচান (৪১), সিরাজগঞ্জ জেলার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে লিয়াকত আলী (৫৪), খোদা বক্সের ছেলে জাহাঙ্গীর আলী (২৫), টাঙ্গাইল জেলার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কাউছার (২১), মোকাদ্দেসের ছেলে হৃদয় হাসান (১৯), সিরাজগঞ্জ জেলার মৃত কানছু মিয়ার ছেলে মো. মোকাদ্দেস (৪০), চাঁদপুর জেলার তারাপদ হালদারের ছেলে রাসেল (২০), রংপুর জেলার আশরাফ আলীর ছেলে জাহিদ হাসান (৩৫), সিরাজগঞ্জ জেলার মৃত মোকছেদের ছেলে আবু সাঈদ (৫০), ফজলুল হকের ছেলে স্বপন মিয়া (২২) ও মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সাজেদুল ইসলাম (৩৫)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন ডাকাত নিরাপত্তা প্রাচীরের প্রধান ফটক টপকে গ্রীল ও গেইটের তালা কেটে কারখানার ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় তারা লোহার হাসুয়া, চাকু, রামদা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কারখানার হেলপার মো. শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য সব কর্মচারীদের রশি ও গামছা দিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। ডাকাতরা কারখানার ফিনিশিং ফ্লোরে থাকা ডাইং পলিব্যাগ ও নগদ টাকা লুট করে পিকআপ গাড়ী যোগে পালিয়ে যায়। ভোরের দিকে কারখানার হেলপার শফিুকল বিষয়টি ম্যানেজার মো. সাহেব আলীকে ফোন জানায়। পরে পপুলার প্যাকেজ এ্যান্ড এক্সেসোরিজ লিমিটেডের ডিজিএম (এ্যাডমিন) মো. মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় একটি অভিযোগ করেন।
মামলার হওয়ার পর প্রথমে ডাকাতির সময় লুট হওয়া দুইটি মোবাইল পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলা থেকে আসামী শরীফের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। তাকে দুইদিনের রিমান্ডে আনার পর তার দেওয়া তথ্যমতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া উপজেলার বাড়ইপাড়া জুম্মাঘর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১১জনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় লুট হওয়া পলিথিন, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুইটি পিকআপ, তিনটি ছ্যানদা, চাপাতি, চারটি কাটার, হ্যান্ড গ্লাবস, মুখোশ/টুপি ও তাদের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, খুন, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি আসামিদের শিগগির গ্রেফতার করা হবে।