সোনামুখী ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের মরিচ চাষী আনছার আলী জানান, এ বছর ১ বিঘা জমিতে মরিচের চাষ করেছেন। কাঁচা মরিচ বিক্রি করেও চার মণ শুকনো মরিচ রেখেছেন। তার এই ১ বিঘা মরিচ খেতে চাষ করতে খরচ হয়েছে ৩২ হাজার টাকা। শুকনো মরিচ বাজারে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি। বর্তমান বাজারে চার মণ মরিচ ৯৬ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান এই মরিচ চাষী।
নাটুয়াপাড়ার কৃষক আব্দুল করিম বলেন,কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শে এক বিঘা জমিতে মরিচের চাষ করেছি। এরই মধ্যে ২০ মণ কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছি। আরও চার মণ মরিচ শুকিয়ে রেখেছি। এখন যদি শুকনো মরিচ বিক্রি করি তাহলে প্রায় ১ লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার সাদাত বলেন, ভালো দামের আশায় চরের কৃষকরা মরিচ চাষে ঝুকচ্ছেন। সদর উপজেলায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। যার বেশির ভাগই চর এলাকায়। স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকেও কৃষকদের এ বিষয়ে নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
কাজীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চরের চাষিরা মরিচ চাষে নেমেছিলেন। এ বছর এই উপজেলায় ৪৪০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আ জা মু আহসান শহীদ সরকার বলেন, মরিচের ভালো দাম থাকায় যমুনা চরের কৃষকরা মরিচ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। চলতি বছর জেলায় ১ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষিরা লাভবান হবেন বলে আশা করেন এ কৃষি কর্মকর্তা।####