বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
আবারো উড়লো জুলহাসের বিমান, যমুনা পাড়ে উৎসবের আমেজ মানিকগঞ্জের যুবক তৈরি করলেন বিমান সহযোগিতায় পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান দৌলতপুরে নতুন ওসি আল মামুন ও সিংগাইরে তৌফিক আজম যোগদান করেছেন সারা বছরই সূলভ মূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রি করা হবে ………মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মানিকগঞ্জে কারখানায় ডাকাতি, গ্রেফতার ১১ আওয়ামী ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে– এস.এ জিন্নাহ কবির ঘাটাইলে পিকনিকের চার বাসে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি ডিবির জ¦ালে আরও দুই আসামি- মালামাল উদ্ধার ঘাটাইলের সড়কে শিক্ষা সফরের চার বাসে ডাকাতি আগামীতে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে । ধানের শীষের বিকল্প নাই

সাটুরিয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে বোর্ডের চেয়ে ডাবল টাকা নেবার অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম:
  • আপডেট করা হয়েছে: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫
  • ২৩ দেখা হয়েছে:

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ১১ মার্চ.-২০২৫,মঙ্গলবার।

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণের অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত ফি আদায়ের কারণে অনেক পরিবারই হিমশিম খাচ্ছে। তারপরও কলেজ নির্ধারিত ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত ফরম ফিলাপ বাবদ অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে আদায় করছেন। তারপরও সন্তানদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে ধারদেনা করে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ফরম ফিলাপের টাকা দিচ্ছেন অভিভাবকরা।

এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের জন্য শিক্ষা বোর্ড ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের জন্য দুই হাজার দুইশত পচিশ টাকা (২২২৫) এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য দুই হাজার সাতশত পচাশি টাকা (২৭৮৫) নির্ধারণ করালেও সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ কলেজের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৭ হাজার টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

খোজ নিয়ে জানাগেছে সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ কলেজের সকল শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার ফি গ্রহণ করা হয় অগ্রণী ব্যাংকের সাটুরিয়া শাখায়। চলতি এইসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে সাটুরিয়া কলেজে টেষ্ট পরীক্ষায় সকল বিষয়ে কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ৫ হাজার ৪ শত ১৫ টাকা এবং মানবিক ও ব্যাবসা শিক্ষা বিভাগে ৫ হাজার ১৫ টাকা নির্ধারণ করেছেন। আর প্রতি বিষয়ে ফেল করলে আর দুইশত টাকা বেশী জমা দিতে হবে। সেই হিসেব করেই শিক্ষার্থীরা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে রশিদ দেখিয়ে কলেজে গিয়ে ফরম পূরন করছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী এক বিষয়ে অকৃতকার্য কলেজ থেকে সরবরাহকৃত জমা রশিদের( রশিদের সিরিয়াল নাম্বার ৫৫৬৫২) মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংক সাটুরিয়া শাখায় ৬ মার্চ ২০২৫ জমা দিয়েছেন, ৫ হাজার ৬ শত ১৫ টাকা, ৩৫৩৪২ নাম্বার রশিদের মাধ্যমে একই দিনে ব্যাবশায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী ৫ হাজার ১৫ টাকা এবং মানবিক শাখা থেকে ৩৫৫২১ নাম্বার রশিদ দিয়ে ৭ হাজার ১৫ টাকা জমা দিয়েছেন।

এমন ফরম ফিলাপের টাকা জমা দেবার ব্যাংক রিসিভ সাটুরিয়ার গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট এসেছে।

সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন গত ১০ মার্চ ছিল নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের নির্ধারিত শেষ দিন। ১০ মার্চ পর্যন্ত মানবিক বিভাগে ২৯৭, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৬৭ এবং বিজ্ঞান বিভাগে ৫৮ জন সহ সর্ব মোট ৪ শত ২২ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করেছেন। যারা গত বছর বোর্ড পরীক্ষায় দুই এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন, তাদের ফরম পূরণ বিলম্ব ফি দিয়ে ১২ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ১৭ মার্চ শেষ হবার কথা রয়েছে।

একই উপজেলার দরগ্রাম ভেকু মেমুরিয়াল কলেজের ফরম পূরণে বোর্ড নিধারিত টাকায় ফরম পূরণ করতে পারলেও সাটুরিয় কলেজ বোর্ড ফির চাইতেও ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা বেশী নেওয়াতে অবিভাবকরা ফুসে উঠছেন।

১০ মার্চ পর্যন্ত ৪২২ জন ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গড়ে সর্ব নিম্ন ৫ হাজার ১৫ টাকা নিয়েছেন। সেই হিসাবে বিজ্ঞান বিভাগে ৫৮ জন শিক্ষার্থীদের বোর্ড নির্ধারিত ২ হাজার ২ শত ৩০ টাকা বেশী নিয়েছেন। সেই হিসেবে শুধু বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অতিরিক্ত ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৩ শত ৪০ টাকা নিয়েছেন। আর মানবিক ও ব্যাবসায় শিক্ষা বিভাগে মোট শিক্ষার্থী ৩ শত ৬৪ জনের নিকট থেকে বোর্ড নির্ধারিত থেকেও ২ হাজার ৭ শত ৯০ টাকা বেশী নিয়েছেন। এ দুই বিভাগ থেকে ১০ লক্ষ ১৫ হাজার ৫ শত ৬০ টাকা বেশী নিয়েছেন।

এনিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেকে অতিরিক্ত ফি দিয়েই ফরম পূরণ করেছেন।

একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানায়, সরকার নির্ধারিত ফি জোগাড় করতেই রীতিমতো তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে সেখানে অতিরিক্ত ফি আদায় করাটা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা কোচিং ফিসহ পাচ হাজার টাকা আদায় করেছি। শিক্ষার্থীরা কোচিং অংশ নিলে পরে তাদের এক হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হবে। ৫ হাজার টাকা করে নিলেও এতে কোনো শিক্ষার্থী বা অভিভাবকের কোন ধরনের কষ্ট হয়নি।

এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফকির জাকির হোসেন জানান, এইচএসি ফরম পূরণের জন্য কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছেন বলে আমার জানা নেই। কেউ যদি অতিরিক্ত ফি আদায় করে থাকে তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ইকবাল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে অধ্যক্ষকে আমার দপ্তরে ডেকে পাঠিয়েছি। সে কি বলে শুনি আর লিখিত অভিযোগ পেলে, অভিযোগ প্রমানীত হলে বিধি মোতাবেক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

আর্টিকেলটি শেয়ার করুন:

এই ক্যাটাগরির আরো খবর
© All rights reserved ©
themesba-lates1749691102