সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, এনায়েতপুর, চৌহালী শাহজাদপুর, কাজিপুর ও উল্লাপাড়ার তাঁত কারখানাগুলো খটখট শব্দে মুখরিত। ঈদকে ঘিরে বাড়তি আয়ের আশায় তাঁত কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে গেছে আগের চেয়ে কয়েকগুন বেশী। তাঁত পল্লীগুলোতে নারী-পুরুষরা কেউবা সুতা প্র্রসেস করছে, কেউবা সুতা রং করছে, নাটাই গুড়িয়ে সুতা কাটছে, নলিতে সুতা ভরছে আবার কেউবা কাপড় ছেটে কাপড় গুছিয়ে রাখছে। দিনরাত পরিশ্রম করে তৈরী করছে নানা ডিজাইন শাড়ী, লুঙ্গি ও থ্রিপিচ। আর এখানকার উৎপাদিত কাপড় দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হয় দেশের বাইরে।
বেলকুচি পাওয়ারলুম এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ এম.এ বাকী বলেন, জেলার প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ তাঁত শিল্পের সাথে জড়িত থাকলেও তাঁত শিল্পের প্রতি সরকারের তেমন সুনজর নেই। প্রতি বছর রং ও সুতাসহ সকল উপকরনের দাম সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো বাড়ালেও বাড়ছে না কাপড়ের দাম। এ অবস্থায় তাঁত শিল্প টিকিয়ে রাখতে রং-সুতাসহ সকল উপকরণের দাম কমিয়ে সরকার কর্তৃক দাম নির্ধারন, শ্রমিক সংকট নিরসন ও ভুর্তুকিসহ স্বল্পসুদে ঋণ দেয়ার দাবী জানিয়েছে তাঁতীরা। সিরাজগঞ্জের তাঁত শিল্প রক্ষায় বাইরের দেশ থেকে অবৈধভাবে শাড়ী আসা বন্ধ এবং রং-সুতা সহজলভ্য করতে না পারলে এ শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে বলে জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।
বাংলাদেশ তাঁতবোর্ড সিরাজগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত লিয়াজো অফিসার ইমরানুল হক বলেন, রং-সুতার ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো রং সুতার দাম বাড়ানোর কারনে তাঁতীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সরকার যেন রং, সুতার মুল্য নির্ধারন করে দেন এ জন্য সুপারিশ করা হবে। এছাড়াও ক্ষুদ্র তাঁতশিল্প রক্ষায় ৫% হারে ঋনসহ বাহারি ডিজাউনের শাড়ী তৈরীর জন্য তাঁতীদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। ###