সুমন আহমেদ, ধামরাই (ঢাকা) :১২ এপ্রিল-২০২৫,শনিবার।
কথায় আছে প্রেম মানে না ধনী গরিব, প্রেম মানে না জাতকুল, প্রেমের টানে নরসিংদী থেকে ঢাকার ধামরাই উপজেলার আমতা ইনিয়নের আগজেঠাইল গ্রামে এসেছে মোঃ মিনান মাহমুদ মুন্না (২৩) নামে এক তরুণ। দীর্ঘ দিনের প্রেমের সর্ম্পক ধরে সীমা আক্তারের ভালবাসায় সুদুর নরসিংদী থেকে ছুটে এসেছে ঐ তরুণ। শুক্রবার (১১এপ্রিল) জুম্মার নামাজ শেষে ৪০লাখ টাকার কাবিনে দুইজনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন বলে জানা গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে রাজধানী ঢাকার উত্তরা থেকে সে ধামরাই আমতা ইউনিয়নের আগজেঠাইল গ্রামের মোঃ সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সীমা আক্তারের বাড়ীতে আসে। মোঃ মিনান মাহমুদ মুন্না নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার শেখবাড়ী ধানোয়া গ্রামের কাউছার শেখ এর ছেলে। সে রাজধানী ঢাকা উত্তরা থেকে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এদিকে সীমা আক্তার ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার আমতা আগজেঠাইল গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। সেও উত্তরা একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যলয়ে মেডিকেলে পড়াশোনা করেন। সেই সুবাধে তাদের উত্তরাই দেখা, আর দেখা থেকে শুরু হয় দুইজনের মধ্যে প্রেম। এই বিষয়ে বর মিনান মাহমুদ মুন্না সাংবাদিকদের জানান, আমি রাজধানী ঢাকা উত্তরায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করি। সীমা আক্তার উত্তরায় পড়াশোনা করে সেই সুবাধে আমাদের পরিচয়। সেই পরিচয় থেকে আমাদেও প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। পরে ভালবাসা চলছিল আমাদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার বিকালে হঠাৎ সীমা আমাকে ফোন করে তাদের বাড়ীতে নিয়ে আসে। আশে পাশের লোকজন আমাদের দেখে কাজী ডেকে আমাদের দুইজনকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। এই বিষয়ে সীমা আক্তার জানান, আমাদের মধ্যে দীর্ঘ তিন বছরের ভালবাসা চলছে। আমরা একে অপরকে চিনি।এই জন্য আমাদের দুইজনের সম্মতিতে বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন আমাদের গার্ডিয়ানরা। এই বিষয়ে সীমার বাবা মোঃ সিরাজৃুল ইসলাম বলেন, মেয়ে ছেলে উভয়ে বিয়ের জন্য সম্মতি দিয়েছ্। তারা দুইজন একে অপরকে ভালবাসে। সেই জন্য আমার আত্মীয়স্বজন মিলে কাজী ডেকে ৪০লাখ টাকায় কাবিন করে এদের দুইজনকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই বিষয়ে ছেলের পক্ষের কোন লোকজনকে সেখানে পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আমতা ইউনিয়নের আগজেঠাইল গ্রামের নরসিংদী থেকে এক তরুণ মেয়ের বাড়ীতে উঠেছে। তবে এই বিষয়ে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসে নাই।